পিরোজপুরের জেলা জজ বদলি নিয়ে হাইকোর্টের রুল
পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নানকে প্রত্যাহারের আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। এই আদেশ কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
সংবাদপত্রে এ সংক্রান্ত খবর সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী আদালতের নজরে আনলে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত এ রুল জারি করে। আইন সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম।
যে ক’জন আইনজীবী বুধবার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন, আব্দুল কাইয়ুম তাদের মধ্যে একজন। আদালত আগামী বুধবার পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছে বলেও জানান এই আইনজীবী।
সকালে বিষয়টি হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চের নজরে আনেন আইনজীবী শিশির মনির ও সায়েদুল হক সুমন।
তার মধ্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ আইনজীবী শিশির মনিরকে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনার পরামর্শ দেন।
এদিকে জজ আব্দুল মান্নানকে বদলি করার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, আউয়ালের জামিন আবেদনের শুনানিতে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান অত্যন্ত ‘অশালীন ও রূঢ়’ ব্যবহার করায় তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়।
জেলা জজের এই ব্যবহার করা সমীচীন হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলছেন, ‘সিচুয়েশনটাকে প্রশমিত’ করতেই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রীকে জামিন দেয়া হয়েছে এবং এতে আইনের শাসনের ব্যত্যয় হয়নি।
দুর্নীতির মামলায় পিরোজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে মঙ্গলবার সকালে কারাগারে পাঠানোর আদেশে দিয়েছিলেন জেলা জজ আব্দুল মান্নান। পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আউয়ালের সমর্থকদের বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে জজ আব্দুল মান্নানকে বদলি করা হয়।
বিকালে পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব নিয়ে নাহিদ নাসরিন আওয়ামী লীগ নেতা আউয়াল ও তার স্ত্রীকে জামিন দেন।